গরুর খামার কি ভাবে তৈরি করব এই রকম চিন্তাভাবনা বাংলাদেশের অনেক মানুষ করে থাকেন। বাংলাদেশে অনেক মানুষ লাখ লাখ টাকা হাতে নিয়ে গুরে বেরাচ্ছেন। তারা কি কুরবে কি করলে ভালো হবে নিজের কর্মসংস্থান হিসাবে কি বেছে নিতে পারেন সারাখন ভাবতে থাকেন। এতো চিন্তা ভাবনা না করে আমি আপনাদের কে বলব হাতে কিছু টাকা থাকলে আপনি গরুর খামার তৈরি করতে পারেন। বর্তমানে গরুর খামার করে অনেক লাভবান হওয়া যায়। গরুর খামার করতে বেশি পুজিও লাগেনা। বাংলাদেশে বর্তমানে সবথেকে লাভজনক খামার হলো গরুর খামার।
আজকে আমি আপনাদের দেখাব কি ভাবে খুব সহজে এবং কম খরচে আপনারা গরুর খামার তৈরি করবেন।
গরুর খামার কি
গরুর খামার বলতে এমন একটি স্থাপনাকে বুঝানো হয় যেখানে কৃত্রিম ভাবে যেকোন জাতের গরু প্রতিপালন ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য সব কিছু করা হয়। সাধারণত: গবাদী পশু এবং কিছু বাণিজ্যিক উদ্ভিদ ও প্রাণী এই প্রক্রিয়ায় প্রতিপালন ও বিপণন করা হয়ে থাকে।
খামার পরিকল্পনা
কোন কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই চিন্তাভাবনা করে শুরু করতে হবে। আপনি যখন পরিকল্পনা করর যখন খামার তৈরি করবেন তখন সাফল্য অর্জন করতে পারবেন।
গরুর ঘর তৈরির নিয়ম
প্রথমে আমাদের চিন্তা করতে হবে আমরা এক সারিতে গরু রাখব নাকি দুই সারিতে গরু রাখব। যদি আমারা এক সারিতে গরু পালন করি তাহলে আমাদের গরুর ঘরটা হতে হবে ১২ ফিট চওরা ১০ ফিট উচু আর লম্বা আপনাদের ইচ্ছা। এর মধ্যে সামনের দিকে ২ থেকে ২.৫ ফিট রাস্তা রাখতে হবে জাতে করে হাটতে এবং গরুর জন্য খাবার নিয়ে জেতে পারেন। আর যদি দুই সারতে গরু পালন করেন তাহলে আপনাদের কে ঘর বানাতে হবে ২০ ফিট চওড়া ১০ ফিট উচু এবং লম্বা আপনাদের ইচ্ছা। দুই সারির গরু পালন করতে হলে মাজ খান দিয়ে রাস্তা রাখতে হবে জাতে করে খাবার এবং হাটতে পারে ৩ ফিট রাস্তা রাখতে হবে। তিন ফিট উচু করে টিন বা ইটের দেওয়ান দিতে হবে। তার পর থেকে গুনার নেট দিতে হইব। জাতে করে গরুর ঘরে আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারে। তাছারা গরুর খামার ঘর হতে হবে উত্তর- দক্ষিণ সাইট এতে করে গরু রোগ জীবানু কম হবে।
গরুর ঘর তৈরির নকশা
গরুর খামার তৈরির নকশা
গরুর জন্য খাবারের পাত্র
খামাররের গরুর জন্য খাবারের পাত্র হতে হবে ইট বালু দিয়ে ডালই এর মাধ্যমে ২.৫ ফট উচু করে ২ ফিট চওরা করে খাবারেত পাত্র বানাতে হবে।
খামারের জন্য গরুর জাত নির্বাচন করা
সব খামারিরা চায় ভালো জাতের গরু নির্বাচন করুক। যাতে করে খুব অল্প সময়ের অধিক মাংসের হয় সেই রকম জাতের গরু খামারে পালন করতে হবে। সে জন্য আপুনাদের কে পশু অধিদপ্তর থেকে পরামর্শ নিতে হবে। ভালো জাতের গরু পালন করলে ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন। এতে গরুর খামার থেকে লাভের আশা করা যাবে।
গরুর খাদ্য
খামারের গরু পালনের ক্ষেত্রে আপনাকে খাদ্যের প্রতি সচেতন হতে হবে। গরুকে সবসমায় পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে। তাছারা গরুর মাংস বৃদ্ধির জন্য আপনা যে খাবার গুলো গুরুত্বপূর্ণ তাহলো গমের ভূষি, ছুলার ভুষি, দানাদার খাদ্য, খুত, খেশারী ভুষি, সরিষার খৈল, তেলের খৈল, খের, ঘাস ও ভিটামিন জাতীয় খাবার ইত্যাদি খাবার দিতে হবে।
ষাড় গরুর খাদ্যর তালিকা
ঘাস ও খর :
ঘাস প্রতিদিন ২০ কেজি
খর প্রতিদিন ৩ কেজি
পানি প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ লিটার
দানাদার খাদ্য :
গমের ভুষি প্রতিদিন ৪০০ গ্রাম
চালের গুড়া প্রতিদিন ৫০০ গ্রাম
এংকর প্রতিদিন ২০০ গ্রাম
সয়ামিল প্রতিদিন ১০০ গ্রাম
সরিষার খৈল ২০০ গ্রাম
গাভীর খাদ্যের তালিকা
ঘাস ও খর
কাচাঁ ঘাস প্রতিদিন ২০ কেজি
খর প্রতিদিন ১.৫ কেজি
দানাদার খাদ্য
গমের ভুষি প্রতিদিন ৫০০ গ্রাম
চালের গুড়া প্রতিদিন ৫০০ গ্রাম
এংকারের গুড়া ৫০০ গ্রাম
সরিষার খৈল ১০০ গ্রাম
লবণ ১০০ গ্রাম
খেসারী গুড়া ৪০০ গ্রাম
দানাদার মিশ্র খাদ্য ৩০০ গ্রাম
রোগ প্রতিরোধ
গরুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত টিকা ভিটামিন যুক্ত খাবার খাওয়াতে হবে। পরিমান মতো পানি দানাদার খাদ্য ইত্যাদি দিতে হবে। নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
পরিচালনা
আপনার খামারে যদি গরুর সংখ্যা বেশি হয় তাহলে খামার দেখা সোনা করার জন্য অতিরিক্ত লোকের প্রয়োজন হবে। খামারের গরুর জন্য ঘাস কাটা খের কাটা ইত্যাদির জন্য অতিরিক্ত একজন দরকার